আমাদের সবারই মন ভোলায় একটি ঝকঝকে সুন্দর দাঁতের হাসি। কিন্তু আপনার দাঁত যদি হয় হলুদ তাহলে বিব্রত না হয়ে উপায় কি বলুন? আসুন জেনে নেই হলুদ দাঁত সাদা করার কিছু ঘরোয়া উপায়
বেকিং পাউডার
এটি দাঁত সাদা করতে সবচেয়ে কার্যকরী। একটি ব্রাশ ভিজিয়ে নিয়ে পেস্টের সঙ্গে কিছুটা বেকিং পাউড়ার নিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত হয় ঝকঝকে সাদা। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশের সময় এটা করা যেতে পারে।
স্ট্রবেরির বিচি
স্ট্রবেরি খেতে যেমন মজাদার, ফলটির বিচিও দাঁতের জন্য বেশ উপকারী। স্ট্রবেরি ফলের ছোট ছোট বিচি আপনার দাঁতের বাইরের অংশে ঘষুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার এই কাজ করলে দাঁতে জমে থাকা ময়লা সহজেই দূর হয়। একই সঙ্গে দাঁতের রংও হবে উজ্জ্বল।।
লেবুর রস
এক চিমটি লবণ ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে মাজলে দাঁত সাদা হয়। এছাড়া লেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁত স্ক্রাবিং করতে পারেন। দাঁত সাদা করতে এটাও বেশ ভাল উপায়।
লেবুর ব্যবহার
প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করার পর পরিষ্কার দাতেঁ এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষতে থাকুন । এভাবে ৫/৬ মিনিট ধরে ঘষতে থাকলে ৭ দিনের মধ্যে উত্তম রেজাল্ট পাবেন। এতে শুধু আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে তা নয় বরং দাতেঁর রংও ফিরবে ।
লবনের ব্যবহার
আপনি প্রতি রাতে যখন দাঁত ব্রাশ করেন। এরপর লেবুর ব্যবহার করতে হবে। লেবুর ব্যবহার শেষ করে হাতে লবন নিন। লবন আঙ্গুলের মাথায় নিয়ে ৫/৭ মিনিট ঘষুন তারপর কুলি করে ফেলুন। এভাবে এটিও ৭ দিন নিয়মিত করেন। দাতের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুদ আর ঝকঝকে সাদা। এখন অনেক টুথপেস্টে লবনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
পাইপ/স্ট্র ব্যবহার
অনেকের চা ও কফির প্রতি দারুণ আসক্তি আছে। অবস্থা এমন যে সারা দিন কত কাপ চা বা কফি খাওয়া হয়েছে, তার হিসাব মেলানো দায়। একই কথা প্রযোজ্য সোডাজাতীয় পানীয়ের ক্ষেত্রে। সত্য কথা হলো—চা, কফি ও সোডাজাতীয় পানীয় দাঁতের শত্রু। এগুলো দাঁতের রং নষ্ট করে দেয়। দাঁত রক্ষায় এগুলো পান পুরোপুরি ত্যাগ বা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। আর তা সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পাইপ বা স্ট্র ব্যবহার করা যায়।
কমলার খোঁসা
সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে আপনার দাঁত ধুয়ে ফেলুন। তারপর কমলালেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁত ঘষুন। কমলালেবুর খোসায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি এর উপস্থিতি থাকায় দাঁতের অণুজীবের সঙ্গে লড়াই করে। এতে দাঁত আরও সাদা এবং শক্তিশালী হয়।
মাশরুম
দাঁত সাদা করতে মাশরুম খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাকারাইড থাকে। যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ও ডেন্টাল প্লাক হতে দেয়না।
সবুজ চা
এতে প্রচুর ফ্লুরাইড থাকে। এছাড়া এটি এন্টি এসিডিক হওয়ার কারণে দাঁতে হলুদ রং পড়তে বাঁধা দেয়।
কাঠকয়লা
আগে মানুষের দাঁত পরিষ্কারে ব্যবহৃত হতো কাঠকয়লা। কাঠকয়লা আপনার দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে।তাই মাঝে মাঝে কাঠ কয়লা মিক্স ব্যবহার করতে পারেন।
ফ্লস ব্যবহার
দাঁতের পরিচ্ছন্নতা ও রং সুরক্ষায় ফ্লসও বেশ উপকার দেয়। দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যের কণা দূর করতে নিয়মিত ফ্লস ব্যবহার করুন। বিশেষত সারা দিন খাবারদাবার খাওয়ার পর প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্লস ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখা যায়।
কলার খোসার ব্যবহার
কলা খা্ওয়ার পর খোসাটি না ফেলে সেটি একাকী দাতেঁ ঘষতে থাকুন। প্রতিদিন এভাবে দুটি কলা খান এবং খোসাটি ঘসুন ৫ মিনিট ধরে । ৭ দিন হওয়ার আগেই এর ফলাফল পাবেন। ঝকঝকে সাদা দাঁত। এছাড়া কলার খোসা দিয়ে আপনার রুপ চর্চাও করতে পারেন।
দাঁতের হলুদ আভা দূর করার ৬ টি উপায় দাঁতের দাগ সমূহ
এবং বিব্রতকর বিবর্ণ হওয়া থেকে রক্ষা পেতে আপনি অনেক কিছু করতে পারেন এবং সৌভাগ্যক্রমে এসকল প্রাকৃতিক ভাবে দাঁত সাদা করার গৃহ চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্লিচিং ট্রে এর জন্য, দাঁতের ডাক্তারের ভিজিটের জন্য, বা অপরিচিত কোন কেমিক্যালের জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করার প্রয়োজন পরবে না। এর জন্য আপনার যে সব উপাদান প্রয়োজন সম্ভবত তার সব গুলিই এই মুহূর্তে আপনার রান্নাঘরে পাওয়া যেতে পারে।
স্ট্রবেরী খান স্ট্রবেরীতে প্রাপ্ত astringent দাঁতের দাগ পরিস্কার করতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন C দাঁতের প্লাক দূরীভূত করে। কিছু স্ট্রবেরী পিষে নিয়ে তা দিয়ে সপ্তাহে এক বা দুই দিন দাঁত ব্রাশ করলে অথবা এটি ভাল করে চিবালে বেশ ভাল ফলাফল পেতে পারেন। এছাড়াও স্ট্রবেরীতে malic acid নামক এনজাইম এবং ভিটামিন C থাকার ফলে দাঁতকে সাদা করে তুলতে সাহায্য করে।
দাঁতের ফ্লস ব্যবহার করুন দাঁত ব্রাশ করার চেয়ে ফ্লস করা বেশী গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের ফাকের দাগ দূর করে এটি দাঁতকে সাদা করে তুলতে সাহায্য করে।
বেকিং সোডা এবং লেবু লেবুর রসের সাইট্রাস এর সাথে বেকিং সোডার রাসায়নিক বিক্রিয়া হাস্যোজ্জল সাদা দাঁত এনে দিতে পারে। এই সলিউশন দিয়ে সপ্তাহে অন্তত একবার দাঁত ব্রাশ করুন।
মচমচে তাজা ফল এবং সবজী খান মচমচে তাজা ফল এবং সবজী চিবিয়ে খাওয়া প্রাকৃতিক ভাবে দাঁত ব্রাশের মত কাজ করে। এগুলো শুধু চিবিয়ে খেলে মুখের থেকে বাড়তি খাদ্য এবং ব্যাকটেরিয়া দূরীভূত হয় এবং এর মাধ্যমে দাঁতের দাগ সমূহ মেজে পরিস্কার হয়ে যেতে সাহায্য করে, এবং এসকল ফল ও সবজীর মধ্যের এসিড প্রকৃতপক্ষে দাঁতকে আরও সাদা রাখে।
ফুড গ্রেড হাইড্রোজেন পার অক্সাইড হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধাগ্রস্থ করে। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মুখে দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে।
পান করার জন্য স্ট্র ব্যবহার করুন কফি, চা, সোডা, মদ ইত্যাদি নানা রকমের পানীয় মারাত্মক ভাবে আপনার দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে। যখনই সম্ভব স্ট্র ব্যবহার করে দাঁতের উপর এদের সরাসরি প্রভাব কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। অবশ্য কফি বা মদ স্ট্র দ্বারা পান করা স্বাভাবিক নয়। তবে যেখানে তা সম্ভব নয় সেখানে এ জাতীয় পানীয় পান করার পরেই দাঁত ব্রাশ করে নিতে পারেন।
#দাঁত_সাদা_করার_উপায়
#হলদে দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়,দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়,দাঁত সাদা করার ঔষধ,দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক উপায়,হলুদ দাঁত সাদা করার উপায়,দাঁত সাদা করার উপায়,দাঁতের কালো দাগ দূর করার উপায়,কালো দাঁত সাদা করার উপায়,হলুদ দাঁত সাদা করার উপায়,দাঁত ঝকঝকে করার উপায়,কালো দাঁত সাদা করার উপায়,দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়,দাঁত সাদা,দাঁত সাদা করার টিপস,দাঁত পরিষ্কার করার উপায়,দাঁত ঝকঝকে সাদা করার উপায়,দাঁত সাদা করার,দাঁত সাদা পাওয়ার উপায়,দাঁতের কালো দূর করার উপায়