আপনি কি জানেন পৃথিবীতে এলিয়েন রয়েছে।পৃথিবীতে এলিয়েন থাকলেও কোথায় আছে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে। এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী, আদৌ কি এই পৃথিবীতে রয়েছে।এই বিষয়টি নিয়ে সিনেমা কিংবা গল্প বহুল প্রচলিত রয়েছে। বাস্তবেও এলিয়েন দেখার অনেক প্রমাণ রয়েছে।
এলিয়েন কি এই পৃথিবী কে দখল করতে পারে। কিংবা মানুষের কোন ক্ষতি এলিয়েন করতে পারবে কিনা তা জানুন এই প্রতিবেদনে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞান ও তাদের গবেষণা কি বলে।সত্যি তথ্য জানলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না।
পৃথিবীর বাইরে এই সুবিশাল সৌরজগতে যে অসংখ্য গ্রহ রয়েছে, সেইগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণের খোঁজ চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীর। এই বিষয়ে সবথেকে বেশি এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা। প্রাণের সন্ধানের পাশাপাশি ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের অস্তিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালাচ্ছে এই সংস্থা।
এলিয়েনদের সম্পর্কে জানতে পৃথিবীর বাইরে বিভিন্ন সাংকেতিক বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। অতিদ্রুতই নীল গ্রহের গণ্ডি পেরিয়ে তা বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ডে পৌঁছে যাবে। ভিনগ্রহীদের সম্পর্কে জানতে নাসার এই আগ্রহ গোটা বিশ্বের জন্যই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারেই বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে নাসার এই কাজে গোটা বিশ্বের বিপদ বাড়তে পারে। মহাকাশে নাসার পাঠানো বার্তায় পৃথিবীর অবস্থান সহজেই জানা যাবে। অবস্থান জানতে পারলেই এলিয়েনরা পৃথিবী আক্রমণ করতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অক্সফোর্ডের ওই বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়েছে, পৃথিবীর বাইরে কোন প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা। এটা জানার জন্য তারা পৃথিবীর বাইরে বিভিন্ন সংকেত পাঠিয়ে যাচ্ছে। যাতে পৃথিবীর বাইরে কোন প্রাণীর, অস্তিত্ব আছে কি নাই। তা জানতে পারে।ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি সিগন্যাল পাঠিয়েছে। বেশ কয়েকটি সিগন্যাল বিজ্ঞানীরা রিসিভ করেছে ,যাতে বিজ্ঞানীরা অবাক করা সব তথ্য পেয়েছে।
বাইনারি কোড যুক্ত “Beacon in the Galaxy” নামের যে বার্তা নাসার তরফে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে তাতে পৃথিবীর অবস্থানের পাশাপাশি মানুষের ডিএনএ ও মানবদেহের ডিজিটাল ছবিও রয়েছে। অক্সফোর্ডের ফিউচার অব হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটের সিনিয়ির বিজ্ঞানী অ্যান্ডার্স স্যান্ডবার্গ জানিয়েছেন, এই ধরনে তথ্য পাঠালে পৃথিবীর বিপদ বাড়বে। যদিও বিআইটিজি মেসেজ মহাকাশে পাঠানো প্রথম বার্তা নয়, ১৯৭৪ সালে প্রথমবার রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে পুয়ের্তো রিকো থেকে আরেসিবো বার্তা মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। যদিও স্যান্ডবার্গের মতে, এই বার্তা ভিনগ্রহীদের সমাজে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম, তবে ঝুঁকি থেকেই যায়।
মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গ্রহে যে প্রাণ থাকতে পারে, এমনকী মানুষের মতোই বুদ্ধিমান প্রাণী থাকতে পারে, দীর্ঘদিন ধরে এই কথা বলে আসছিল নাসা। সম্প্রতি ভিনগ্রহীদের আকর্ষণ করতে নাসার তরফে মহাকাশে মানুষের নগ্ন ছবিও পাঠানো হয়েছিল।
এলিয়েনদের বিষয়ে আরও জানতে তাই এবার বিআইটিজি বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। নাসার এই পদক্ষেপে এলিয়েনরা আদৌ পৃথিবী আক্রমণ করে কি না অথবা এর অন্য কোনও প্রভাব পড়ে কিনা সেটাই এখন দেখার।
স্পেনের এক গবেষক জানিয়েছেন, পৃথিবীর কাছাকাছি ১৯ আলোকবর্ষ দূরে ভিনগ্রহীদের পক্ষে বাসের উপযুক্ত স্থান রয়েছে। গত শতাব্দীতে বিশ্বের আক্রমণের ইতিহাস, জড়িত দেশগুলির সামরিক সক্ষমতা এবং শক্তি খরচের বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির হারের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৭৪ সালে নক্ষত্রমণ্ডলে একটি রেডিয়ো বার্তা পাঠান। কিন্তু এই বার্তা কোনও সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। বি়জ্ঞানীরা ভবিষ্যতে আরও এক বার রেডিয়ো বার্তা পাঠানোর কথা ভাবছেন। তবে, এ বার তা আগের চেয়েও বেশি সরল হবে, মানুষের ডিএনএ গঠনের সংকেতও পাঠানো হবে ওই বার্তার সঙ্গে।
আকাশগঙ্গা ছায়াপথেই ভিনগ্রহীরা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গবেষক। একটি নয়, কমপক্ষে চারটি গ্রহ এমন রয়েছে যা ভিনগ্রহীদের বাসযোগ্য। কিন্তু তাঁদের পৃথিবীতে আক্রমণ করার সম্ভাবনা খুবই কম। মানব সভ্যতা যখন শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাইরের নক্ষত্র থেকে শক্তি সংগ্রহ করে সঞ্চয় করতে সক্ষম হবে, তখন ভিনগ্রহীদের আক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। তবে,সেই পরিস্থিতিতে পৌঁছতে পৃথিবীর আরও একশো থেকে দু’শো বছর সময় লাগবে।
বন্ধুরা আপনাদের কেমন লাগলো,সেটি কমেন্টের মাধ্যমে জানান,ভিডিওটি ভালো লাগলে, একটি লাইক দিন, বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। নিত্যনতুন, রহস্য রোমাঞ্চ ভরা তথ্যবহুল ভিডিও পেতে, বেল আইকন ক্লিক করে রাখুন। Subscribe Now